শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৮ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ইলিশ শিকারের অপরাধে শরীয়তপুরে ১২ জেলে আটক, জাল ও ট্রলার জব্দ

ইলিশ শিকারের অপরাধে শরীয়তপুরে ১২ জেলে আটক, জাল ও ট্রলার জব্দ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। ছবি-দৈনিক হুংকার।

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ মাছ শিকারের অপরাধে শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ৫টি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১২ জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করা হয়েছে। ৯০টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করে তা বিকল করে দেয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও পদ্মা নদীর তীর থেকে ৮টি অস্থায়ী খাবার হোটেল অপসারণ করা হয়েছে। ৬টি জ্বালানী তেলের ডিপো আটক করা হয়েছে অভিযানের চতুর্থ দিনে।
শরীয়তপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে ১৪ অক্টোবর প্রথম প্রহর থেকে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন থাকবে মৌসমের মেয়াদ। ২২ দিনই চলবে নদীতে প্রশাসনের অভিযান। অভিযানের ৪র্থ দিনে জেলার জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। মা ইলিশ শিকারের সময় জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে শহীদ শিকদার, শাহ আলম, রাসেল মিয়া, সবুজ বেপারী ও সেন্টু শেখকে আটক করা হয়। এছাড়াও গোসাইরহাট উপজেলা কোদালপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে রিপন হাওলাদার, আমিনদ্দিন গাছা, রিপন বেপারী, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, নজরুল ছৈয়াল, রায়হান উদ্দিন সেন্টু ও মো. রুবেলকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে তা দরিদ্র মানুষ এবং এতিমখানায় বিলি করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।