বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

এ্যাড. হাবিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

এ্যাড. হাবিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মুন্সীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, হত্যা মালার প্রধান সাক্ষি এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, শরীয়তপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সালাম ও জেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক মহসীন মাদবর। সভায় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জজ কোটের পিপি এ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী, জিপি এ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ বাচ্চু বেপারীসহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মামলার প্রধান সাক্ষি নিহত এডভোকেট হাবিবুর রহমান এর পুত্র এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন জানায়, ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর খুনিরা বেডরুমে প্রবেশ করে তার পিতা ও চাচাকে নির্মম ভাবে খুন করে। ৬ অক্টোবর সাবেক সংসদ সদস্য হেমায়েত উল্ল্যাহ আওরঙ্গকে প্রধান আসামী করে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা করে নিহতের স্ত্রী জিন্নাত হাবিব। পুলিশ প্রধান আসামী সহ ৬ জনকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৩ সালে মামলার পুন:তদন্ত হয়। সেখানে সকল আসামীকে অভিযোগ পত্রে অন্ত:ভুক্ত করা হয়। ২০১৫ সালে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। আসামী পক্ষ অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্মরনাপন্ন হয়। ২০১৯ সালে উচ্চ আদালতে আসামীদের আবেদন খারিজ হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শরীয়তপুর জজ আদালতে মামলার সাক্ষি গ্রহন শুরু হয়েছে। বাদির মৃত্যু পরবর্তী তার ছেলে পারভেজ রহমান জন জবানবন্দি প্রদান করেছেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীগণ বাদীকে জেরা কার্যক্রম শুরু করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১ অক্টোবর।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা বলেন, এ্যাডভোকেট হাবিব ছিল আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। হাবিব তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিল আর আমি ছিলাম সহ-সভাপতি। হাবিব হত্যার বিচার আমরা চাই তাই এই সভায় যোগ দিয়েছি। হাবিব হত্যা মামলার কোন আসামীকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাখা হয় নাই। আসামীদের কেউ যদি আওয়ামী লীগের কামিটতে থাকে তাদের বহিস্কার করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।