
শরীয়তপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে মা ইলিশ রক্ষায় জেলা মৎস্য বিভাগ ও জেলার মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবদুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার, তানভীর আহমদ, তানভীর হায়দার শাওন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আমিনুর ইসলাম, র্যাব-৮ অফিসার মাহিদুল হাসান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল হক, গোলাম মোস্তফা, এম মাহবুবুল হক, নজরুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মোঃ আবুল খায়ের, রেজওয়ানা শারমিন, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট (ইকোফিশ, ওয়াল্ডফিশ), জাজিরা থানা অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম সরকার, পিপিএম, সখিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার, ভেদরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম, নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, গোসাইরহার থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী, পুলিশ পরিদর্শক ক্রাইম শাখা আনোয়ারুল ইসলাম, ডিআইও-১ আজহারুল ইসলাম, ডিআইও-২ কামরুল ইসলাম, সুরেশ্বর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ মুনিরুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, জেলা মৎস্য অফিস, র্যাব, সীব বোট মালিক, মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ীগন, আড়ৎদার ও মৎস্য পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
জাজিরা, নড়িয়া, সখিপুর ও গোসাইরহাট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়েছে, মা-ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে অতিরিক্ত ফোর্স, দ্রুত গতির যান, পর্যাপ্ত নৌযান ও জ¦ালানীর ব্যবস্থা থাকতে হবে। অভিযানের শুরুতেই ঢিলেঢালা পরিবেশ মা ইলিশ রক্ষার জন্য ক্ষতিকর। মা ইলিশ নিধনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে জরিমানা না করে জেল দিলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। আরও দাবী জানানো হয়েছে অভিযান চলাকালে পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের জন্য। তাহলে সহজেই নদীতে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে সংশ্লিষ্ঠ পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ডদের সাথে সমন্বয় রেখে অভিযান পরিচালনা করবে তারা। এই অভিযানকে সফল করতে সকল প্রকার সহায়তা জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের সাথে সবাইকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। সেই সাথে মা ইলিশ সংরক্ষণে নদী পাড়ের মানুষ সহ সর্বস্তরের জনগনকে সচেতন করতে হবে। যাতে করে মা ইলিশ ধরা, খাওয়া ও ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকে। আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযানে শক্তভাবে আইন এবং কঠোর ভূমিকা পালন করবো। সকলের সমন্বয়ে বিষয়টিকে কঠোর নজরদারীতে রাখতে হবে। কোন ব্যক্তি সরকারি আইন অমান্য করলে তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের শৈথিল্য সহ্য করা হবেনা।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।