
করোনা মহামারিতে কত মানুষ যে পথে বসেছে তার সঠিক হিসেব এখনও মিলেনি। তার উপর বন্যা, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বি, ক্যাটাগরির জেলা শরীয়তপুরেও বিভিন্ন ব্যবসায় নেমেছে ধ্বস।
করোনার প্রভাব জেলার ইট ভাটা গুলোতেও পরেছে। সেই সাথে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে জেলার অধিকাংশ ইট ভাটা। মালিক ও কর্মচারিরা বসেছে পথে। খবর নিয়ে জানা যায়, করোনার কারণে আধা পোড়া ও কাঁচা ইট ভাটায় রেখেই চলে গেছে কর্মচারীরা। আর এসব কর্মচারীদের অগ্রীম দেওয়া টাকাও ফেরত পাননি মালিকরা।
করোনার সাথে সাথে বন্যার পানিতে জেলার প্রধান সড়ক গুলো ডুবে যাওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচলে স্থানীয় নিষেধজ্ঞা থাকার কারণে ইট তৈরীর জন্য ক্রয়কৃত মাটি এবং কয়লা যথাস্থানে আনতে না পাড়ায় আগামী মৌসুমের ব্যবসায়ও বড় ধরণের লোকসান আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতাদের নিকট অগ্রীম বিক্রি করা ইট বা টাকা ফেরত দিতে না পাড়ায় কয়েকজন মালিক গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। মুঠোফোনে বা বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না অনেক ইট ভাটা ব্যবসায়ীকে।
শরীয়তপুর ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল খান বলেন, করোনা ও বন্যার কারণে এবছর জেলার ইট ভাটা ব্যবসায়ীরা ১শত কোটি টাকার বেশি লোকসানে রয়েছে। জেলার ৫৮টি ইট ভাটার মধ্যে প্রত্যেকটিই লোকসানে রয়েছে। এর মধ্যে আগামী বছর অনেক ভাটাই বন্ধ করে দিতে হবে অনেক ব্যবসায়ীর। যারা চালাতে পারবে তারা হয়ত বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারবে কিন্তু লাভবান হবে বলে মনে হয় না। যদি সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা পাই, ব্যাংক গুলো যদি আমাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয় তাহলে হয়ত ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমরা সরকার থেকে ঋণসহ সর্ব প্রকার সহযোগিতা কামনা করি।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।