সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৪ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

রুদ্রকরে পুত্রবধু ও মেয়ের নাম দিয়ে ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ করছে মেম্বার

রুদ্রকর ইউপি সদস্য মালেক সরদার। ফাইল ফটো।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মালেক সরদার নিজের মেয়ে ও পুত্রবধুর নাম ব্যবহার করে ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের দাবী পুত্রবধু ও মেয়ে অসহায় রয়েছে তাই ভিজিএফ কার্ড দিয়ে তাদের সহায়তা করা হয়েছে।
জানাগেছে, রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মালেক সরদার ১৫টি ভিজিএফ চালের কার্ড পেয়েছে। গত জুলাই মাসে তিনি সেই চাল বিতরণ করেছেন। চাল বিতরণের মাস্টার রোলের ২০৮ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায় সেলিনা আক্তারের আর ২২২ নম্বর ক্রমিকে মোসা: জিয়াসমিন আক্তারের নাম। সেলিনা আক্তার ইউপি সদস্য মালেক সরদারের পুত্র বিল্লাল সরদারের স্ত্রী। বিল্লাল সরদার সৌদি প্রবাসী আর তার স্ত্রী সেলিনা শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকায় বসবাস করেন। ইউপি সদস্যের মেয়ে জিয়াসমিন আক্তারের একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বিয়ে হয়েছে। সে স্বামী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। তাদের কেউই চাল গ্রহন করেনা আর মাস্টার রোলে তাদের কারোর আঙ্গুলের ছাপও নাই। তাদের কেউ এই চাল উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে কখনো আসেনি বলেও জানায় পরিষদের দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। ভূয়া টিপসহি দিয়ে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য মালেক সরদার।
এই বিষয়ে মালেক সরদার বলেন, এলাকার একটি হত্যা মামলার আসামী হয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই মেয়ে ও পুত্রবধুর নামে দুইটি ভিজিএফ কার্ড রেখে অবশিষ্ট কার্ড এলাকার গরীব অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। ছেলে সৌদি প্রবাসী আর তার স্ত্রী-সন্তান পৌরসভার আংগারিয়া এলাকায় থাকে ও মেয়ে তার স্বামী সহ ঢাকায় থাকে।
রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঢালী সহ একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, চেয়ারম্যান হোক বা মেম্বার, কোন জনপ্রতিনিধি স্ত্রী-সন্তান বা পুত্রবধুর নামে ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার কোন বিধান নেই।
এই বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, কোন ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্য ভিজিএফ এর চাল তার সন্তান-পুত্রবধু, স্ত্রী ও নিকট আত্মীয়ের নামে রাখতে পারবে না। এই চাল গরীব অসহায় মানুষের জন্য। এমন ঘটনা কোথাও থাকলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।