শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে শরীয়তপুরে মাস্টার জিমের সদস্যরা রুটিন অনুযায়ী ব্যায়াম করছে। এই পর্যন্ত মাস্টার জিমের কোন সদস্য কোভিড-১৯ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। শারীরিক পরিশ্রম ও নিয়ম মেনে ব্যায়াম করায় জিমের সদস্যরা কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত বলে দাবী করেছেন জিমের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাজমুল হাসান তানিম। স্বাস্থ্য সচেতনতা, শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে জানিয়েছে শরীয়তপুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
মাস্টার জিমে গিয়ে দেখা যায়, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে জিমের সদস্যরা ব্যায়াম করছে। সদস্যরা মুখে মাস্ক পরিধানরত ছিল। সেই সময় কথা হয় মাস্টার জিমের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাজমুল হাসান তানিমের সাথে। তিনি জানায়, শরীয়তপুরে কোন ব্যায়ামাগার ছিল না। আমি ছাত্রজীবনে ঢাকার একটি জিমে ভর্তি হই। অনেক দিন জিমের সাথে লেগে থেকে আমি শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করি। আমার শারীরিক অনেক ছোটখাট সমস্যাও সমাধান হয়। তখন থেকেই আমি চিন্তা করি শরীয়তপুরের মানুষের জন্য একটা জিম প্রতিষ্ঠা করব। তিন বছর ধরে আমি জিম প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি শরীয়তপুরবাসীর কাছ থেকে সাড়া ও সহযোগিতা পাচ্ছি। আমার জীমে ৮ শতাধিক সদস্য রয়েছে। এদের মধ্য থেকে শতাধিক সদস্য নিয়মিত জিমে আসে। অনেকের দৈহিক ওজন কমেছে আবার অনেকের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে সুস্থ আছে। আমার জানামতে এই সংকটময় মূহুর্তে জিমের কোন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয় নাই। জিমে প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। জিমের ভিতরে স্যানিটাইজার ও স্প্রে রেখেছি। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সদস্যরা স্বাচ্ছন্দে জিম করে।
এই বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, শরীর সুস্থ থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীর ভালো রাখার জন্য শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের গুরুত্ব রয়েছে। আমি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্রত্যেককে ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।