
শরীয়তপুর জেলার ৬ উপজেলার বিতৃর্ন বোরো ধানের জমিতে সোনালী ধানে ছেঁয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফোটলেো আকষ্কিক করোনার থাবায় তাদের স্বপ্ন অনেকটা যেন লন্ড ভন্ড। মাঠে মাঠে যখন পাকা ধান কাটার সময় হয়েছে তখনই হানা দিয়েছে প্রান ঘাতি করোনা। আর এর প্রভাবে ধান কাটা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জমিতে পাঁকা ধান থাকলেও ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না।
শরীয়তপুর জেলায় নড়িয়া, সদর, জাজিরা,ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট মাঠে বোরে ধানে সোনালী বর্ণ ধারণ করলেও পুরো দমে ধান কাটা শুরু হয়নি। প্রতি বছর এসময়ে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর,সাতক্ষিরা,রংপুর,গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত ধানকাটা শ্রমিক এসে ধর্না দিত। এবার করোনা দূর্যোগে সেচিত্র সম্পুর্ন বিপরীত বিরাজ করছে। ফলে পাঁকা ধান ঘরে তুলতে চাষী বাধ্য হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা লুকো ছাপ করে ধান কাটছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, জেলার নড়িয়া উপজেলার উপজেলা ধামারন, চিশতিনগর, ঘড়িষার, ভেদরগঞ্জ জাজিরার, আটেরগাড়া, নারায়নপুর, রামভদ্রপুর, চরকুমারিয়া,আর্শিনগর, চরসেন্সাস, সখিপুর , ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইসলামপুর তিলঐ, পূর্বডামুড্যা, শিধলকূড়ায় ও ধানকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখন মাঠের পর মাঠ যেদিকে দৃষ্টি যায় চারিদিকে সোনালী ফসলের আভা। মাঠজুড়ে এই সোনালী ধান। চলমান করোনার প্রভাবে ব্যাপকভাবে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের অন্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসতে পারছে না। ফলে টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পরেছে।
কৃষকরা বলছেন, ধান কাটার সময় কুষ্টিয়া, ঝিনরদা,মেহরপুর,মাগুর, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকরা এসে ধান কাটায় অংশ নিত কিন্ত করোনা সংকটের কারণে দেশ ব্যাপি লক ডাউন থাকায় শ্রমিকরা ধান কাটার জন্য আসতে পারছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃষক নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়েই কোনো রকমে কষ্টার্জিত ধান ঘরে তুলতে কাজ করছেন।
ফলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া বৈরি হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাপরাইল গ্রামের কৃষক কুদ্দুস সরদার বলেন, জমির কাছে এসে পাকা ধান দেখে বুকটা হাহাকার করছে। কিভাবে ফসল কাটব বুঝতে পারছিন না। জমিতে পাঁকা ধানের গন্ধে মৌ” মৌ” করছে। ধানের উৎপাদন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে।এর পরে শ্রমিক সংকট কৃষকের মুখে হাঁসি নেই। শরীয়তপুরের চাষীদের এখন আল্লাহই একমাত্র ভরশা।
জাজিরা উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানায়, চলতি বছর জাজিরায় ১৯ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ধান রয়েছে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ কৃষিবীদ আমির হামজা বলেন, দুর্যোগময় পরিস্থিতি কৃষকের জন্য আসলেই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তিনি শ্রমিক সংকটসহ সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দশমত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এর সাথে আলোচনা করে ধানকাটান প্রয়েজনীয় পদক্ষেপ নিব। আমরা যন্ত্রের সাহার্যে ধান কাটার উদ্যোগ নিব। তিনি জানান, সরকার এ জন্য ধান কাটার যন্ত্র কেনার জন্য ভতুর্কি দিচ্ছে।
শরীয়তপুর জেলা কৃষকলীগ যুগ্ন আহবায়ক সোয়েব আকন্দ জানান বোরোধান কাটার জন্য দেশের এই দূর্যোগ পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।আল্লাহ চাহেত এ দূর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।