সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৪ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরের ৪ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, পশু খাদ্যের সংকট

বন্যার পানিতে প্লাবিত বিদ্যালয়। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর সদর সহ নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ডুবে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফসলি জমি, বসত ঘরসহ রান্নাঘর ও চুলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুর বাসস্থান ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে তাদের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু রাস্তা ও ব্রিজে আশ্রয় নিয়েছে। পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধ রয়েছে ঝুঁকিতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানাগেছে, সদর উপজেলাসহ জেলার নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর পাড় তলিয়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ১৫০টি গ্রামের প্রায় দের লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধের ৮টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এই পর্যন্ত ১৫০ মেট্টিকটন চাল ও ৫০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যা কবলিতা পরিবার জানায়, করোনা চলাকালে কাজ কর্মহীন মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। এখন বন্যর পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও বসত বাড়ি। পরিবার নিয়ে মাথা গোজার ঠাই নাই। এর মধ্যে গবাদি পশু নিয়ে কোথায় যাবেন তারা। নিজেদের পেটে খাবার নাই। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিকে কি খাওয়াব। সরকারের সহায়তা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম. আহসান হাবীব বলেন, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জাজিরা-নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহীত পদ্মার পাড় তলিয়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতে ¯্রােত বেশী থাকায় পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধের ৮টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ দেখানো হয়েছে। জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার বেশীরভাগ গ্রাম পদ্মা নদীর তীর ঘেষে অবস্থান করায় সেখানে বেশী ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা লক্ষ করা গেছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কয়েকটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের অনেক গ্রাম তলিয়ে গেছে। এই পর্যন্ত ১৫০ মেট্রিকটন চাল ও ৫০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। বন্যা মোকাবেলায়ও প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ইউএনওদেরও নির্দেশ দেয়া রয়েছে যেখানে সমস্যা দেখা দিবে সেখানেই টিম ওয়ার্ক করে ত্রাণ বিতরণসহ যেকোনো সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।