রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৩ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে কোচিং বানিজ্য

শরীয়তপুরে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে কোচিং বানিজ্য

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস আতঙ্কে যখন সারা পৃথিবী আতঙ্কিত। শিক্ষা ব্যবস্থাসহ থেমে গেছে জনজীবন। ঠিক সেই মূহুর্তে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ও চন্দ্রপুর এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে চলছে কোচিং বানিজ্য। এই কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অতিথি শিক্ষক ও কোচিং ব্যবসায়ীরা। শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিন পরিদর্শণ কালে দেখা গেছে, চিকন্দী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিত্যক্ত ঘরে হোমায়েত হোসেন রূবেল তালুকদার, চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির পুরাতন ঘরে বোরহান মাস্টার ও নতুন পুলিশ ফাঁড়ির দক্ষিণ পাশে একটি ঘরে জসিম মাস্টার নিয়মিত কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে চন্দ্রপুর এএইচপি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানকার সহকারী প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বিদ্যালয় কম্পাউন্ডের ভিতর ও অতিথি শিক্ষক শাহ আলম বিদ্যালয় সংলগ্ন চন্দ্রপুর বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সকাল থেকে প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মান্য করা হচ্ছে না।
কোচিং মাস্টার হেমায়েত হোসেন রূবেল বলেন, জানি কোচিং নিষিদ্ধ। তবুও বাধ্য হয়ে কোচিং করাচ্ছি। লক-ডাউনের মধ্যেও ঘরের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়। পাশাপাশি সংসার ও স্ত্রী-সন্তানদের দেখাশোনাও করতে হয়। আগামী বছর যারা এসএসসি পরীক্ষা দিবে সামনে তাদের নির্বাচনী পরীক্ষা। তাই বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসার ৩০ জন স্টুডেন্ট নিয়ে কোচিং করতেছি। আমাদের কোন ক্ষতি করবেন না।
চন্দ্রপুরের স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থী অভিভাবকগণ জানায়, এএইচপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন প্রাইভেট পড়তে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাধ্য করে। ওই শিক্ষক কৌশল করে প্রতি শ্রেণিতে একদিন করে গনিত ও ইংরেজী পড়ায়। পরে প্রাইভেট পড়ায়।
চন্দ্রপুর এএইচপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হোসেন মিজান বলেন, আমার বিদ্যালয়ে কোন প্রাইভেট পড়ানো হয় না। যদি কেউ আমার অগচোরে প্রাইভেট পড়ায় তা জানা নাই। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যদি আমার কাছে কিছু জানতে চায় তাহলে সেখানে জবাব দিব। অন্য কারোর সাথে আমি কথা বলতে রাজি না।
এই বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। করোনার মধ্যে কোন ভাবেই কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো অপরাধ। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।