সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৪ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে সরকারের ধান-চাল ক্রয় ব্যহত হচ্ছে

শরীয়তপুরে সরকারের ধান-চাল ক্রয় ব্যহত হচ্ছে

বাজারে দাম বেশী থাকায় সরকারের চাহিদা অনুযায়ী শরীয়তপুরের খাদ্য গুদাম গুলো ধান ও চাল সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ধান ক্রয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ তা পূরনের কোন সম্ভাবনাই দেখছেন না তারা। চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা শূণ্যের কোঠায়। মিল মালিকদের চাপ প্রয়োগ করেও কোন সুফল আশা করা যাচ্ছে না।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলা থেকে ২ হাজার ৪৯১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে। এর আওতায় সদর উপজেলার আংগারিয়া খাদ্য গুদাম থেকে ৬২৪, ডামুড্যা থেকে ৪০৮, গোসাইরহাট থেকে ৩৫১, নড়িয়া থেকে ৫৫৯, ভেদরগঞ্জ থেকে ৪৬৫ ও জাজিরা থেকে ৮৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহেরর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। এই লক্ষ্যে গত ৪ জুন জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিক ভাবে আংগারিয়া খাদ্য গুদামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করেন। আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত কৃষক শর্ত মেনে তাদের ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবে। আংগারিয়া খাদ্য গুদামে ৬২৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। তবে এই পর্যন্ত ২৬ জন কৃষক ৫৪ মেট্রিকটন ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে এসেছে। অন্যান্য কৃষকরা বাজারে ধানের কাঙ্খিত মূল্য পাওয়ায় খাদ্য গুদামে আসতে আগ্রহী না।
এই খাদ্য গুদামে ২৫১ মেট্রিকটন চালও সংগ্রহ করতে পারবে। চাল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয় ৭ মে থেকে। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই লক্ষ্যে আংগারিয়া এলাকার খান রাইচ মিল ও সোনালী রাইচ মিলকে চাল ছাটাই করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এই পর্যন্ত কোন মিল থেকেই খাদ্য গুদামে কোন চাল দেয়নি মিল মালিকরা।
ধানের সঠিক আদ্রতা, বিজাতীয় পদার্থ-ভিন্ন জাতের ধানের মিশ্রণ, অপুষ্টি-বিনষ্ট ধান ও চিটা মুক্ত উজ্জ্বল সোনালী ধান কৃষক খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবে। তবে কৃষকদের কৃষি কার্ড ও ব্যাংকে কৃষি একাউন্ট বাধ্যতামূলক এবং কৃষি বিভাগ কর্তৃক অবশ্যই তালিকাভূক্ত কৃষক হতে হবে। খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে হলে কৃষক এতো শর্তও মানতে নারাজ। সেই কারনেও খাদ্য গুদামে কৃষকের ধান বিক্রি করার আগ্রহ কমেছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে তাদের যুক্তিযুক্ত মতামত জানাগেছে। কৃষকরা জানিয়েছে, অনেক কৃষক ২০ থেকে ৫০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন করেছেন। এতো শর্ত মেনে যদি ২ মেট্রিকটন ধান বিক্রি করতে হয় তাহলে অবশিষ্ট ধান বিক্রি করবে কোথায়? তাছাড়া বাজারেও ধানের দাম সন্তোষজনক। বাড়িতে পাইকার আসে। আমাদের ধান বিক্রি করতে সমস্যা হয় না।
আংগারিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সরকার বলেন, ৬২৪ মেট্রিকটন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এই পর্যন্ত ৫৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অনেক সময় ক্রয় নিয়ম শিথিল করি। তবুও কৃষক আসছে না। গতকালও মিল মালিকদের ডেকে চাল দেয়ার জন্য বলেছি। তারাও দেই দিচ্ছি বলে চাল দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত খাদ্য গুদামে কোন চাল আসে নাই। বাজারে ধান-চালের দাম বেশী থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। অধিদপ্তর যদি সময় বর্ধিত করে তাহলে হয়তো লক্ষমাত্রা পূরণে সক্ষম হব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।