
শরীয়তপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের দামও আশানুরূপ। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ বোরো ধান ঘরে তুলতে সক্ষম কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষাণ-কিষাণীরা। ভূগর্ভস্থ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও খালে নদীর পানি প্রবাহ থাকলে ফলন আরো বাড়বে বলে ব্লক ম্যানেজার ও কৃষকদের দাবী। জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা গ্রহণ করে জেলা কৃষি বিভাগ। গত বছরে ধানের দাম বেশী পাওয়ায় এবছর লক্ষমাত্রার চেয়েও ১ হাজার ৪০ হেক্টর বেশী জমিতে বোরো আবাদ করেছে কৃষক। প্রতিকূল আবহওয়ার কারণে ফসলে ব্লাস্ট হওয়ায় কিছুটা ফসল কম হয়েছে। ধান মারাই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ জমির বোরো ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে কৃষক। ধানের চাহিদা থাকায় মূল্য বেশী পেয়ে কৃষক খুশি। কিষাণীরাও ধান ঘরে তুলতে সমান ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গবাদি পশুর সারা বছরের খাবার সংগ্রহে খড়-কুটা সংগ্রহ চলছে খামারিদের। কৃষি জমি ও পানির অপচয় কমাতে ভূগর্ভস্থ নালা তৈরীতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
কৃষাণরা জানায়, খড়ার সময় ধান মারাইর উপযুক্ত সময়। খড়ার কারণে তাদের ভাগ কমে গেছে। গত বছর তারা ৭ ভাগে ধান কেটেছে। এবার ৮ ভাগে ধান কাটতে হয়। ধানের ফলন ভালো তাই তাদের পুষিয়ে যাচ্ছে।
বোরো চার্ষীরা জানায়, জমি থেকেই পাইকার এসে ৯০০ টাকা মন দরে ধান নিয়ে যায়। ব্লাস্ট নামে একটা রোগ ধানের কিছুটা ক্ষতি করেছে। নয়তো প্রতি শতাংশে ১ মন করে ফলন পাওয়া যেত। এখন শতাংশে ৫-৭ কেজি ফলন কম হয়েছে। শহরের বর্জ্যরে পানি দিয়ে ধান চাষ করায় চর্মরোগসহ বিভিন্ন সমস্যা হয় কৃষকের। নদীর পানিতে ধানের ফলন ভালো হয়। খাল খনন করে নদীর পানি প্রবাহের দাবী কৃষকদের।
ব্লক ম্যানেজারদের দাবী, উপর দিয়ে নালা করায় তাদের অনেক জমি নষ্ট হয়। কৃষি বিভাগ ভূ-গর্ভস্থ নালার ব্যবস্থা করলে তাদের অনেক জমি সাশ্রয় হবে এবং ফসলের উৎপাদন বাড়বে।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবিআহ নুর আহম্মদ বলেন, লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী ধান উৎপাদন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো। কৃষক লাভোবান হবে। ব্লাস্ট ভাইরাসের কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। দ্রুত সমাধন করা হয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ নালা তৈরীর ব্যবস্থা করা হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।