
বেঁচে থাকার সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে সোমবার (৮ মে) চারদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন জহুরা বেগম (৩৮)।
এর পূর্বে বুধবার শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের মিত্রসেন পট্টির লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এম ভি ঈগল-৩ লঞ্চ থেকে নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন পঙ্গু হাসপাতালে জহুরার সাথে থাকা তার মা নার্গিস বেগম। মৃতের স্বামী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
জহুরার স্বজনরা জানিয়েছেন, মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করার পর তাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। লঞ্চ থেকে পরে যাওয়ার সময় তার বাম পা ভেঙে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বজনরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে তার বাম পায়ে অস্ত্রপোচার করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। জহুরার দেবর মাইদুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমার ভাবি চলন্ত লঞ্চ থেকে পরে বাঁচার জন্য মেঘনা নদীতে ভেসে ছিলেন। তবে আমরা তাকে শেষ রক্ষা করতে পারলাম না। গত ৫ দিন তাকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।
কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন স্বপন বলেন, জহুরা জীবন বাঁচাতে সাহসিকতার সাথে মেঘনা নদীতে ভেসে ছিলেন। সকলের সহযোগিতায় তার উন্নত চিকিৎসা চলছিল। সেই জহুরা এভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায মারা যাবেন বুঝতে পারিনি। তাকে দাফন করার জন্য গ্রামে আনা হবে। আমরা তার পরিবারের পাশে থাকব।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।