
চারিদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কোথাও চলছে লকডাউন। প্রাণঘাতী করোনার ভয়কে তুচ্ছ করে জনগণের কল্যাণে ছুটে চলেছেন শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দৃঢ় ভূমিকায় শরীয়তপুরের করোনার সংক্রমণ এখন পর্যন্ত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিনিয়ত ছুটে চলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাবেসক, মাঠ কর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ নিবিড়ভাবে। তার নির্বাচনী এলাকা সখিপুর-নড়িয়ার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য তিনি প্রশংসিত। জনগণ যে কারণে তাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন।
বর্তমান বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সুস্থ পরিকল্পনা ও জনসচেতনতা বাড়াতে সব ধরণের প্রচারণা, খাদ্য সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রী উপহার, ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স, লাশের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা, ফ্রী মেডিকেল টিম সার্ভিস, অসহায় কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীদের উৎসাহ প্রদান, সমাজের বিভিন্ন স্তরের ও শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি নিয়ে নির্দ্বিধায় কাজ করে চলেছেন তিনি। এছাড়া এনামুল হক শামীম ঐচ্ছিক তহবিল ও তার মায়ের নামের আশরাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন থেকে অসহায়, অসুস্থ, অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নগদ টাকা প্রদানসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিনামূল্যে ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণে অর্থ বিতরণ করে যাচ্ছেন।
তিনি সপ্তাহে অন্তত এক দিন নিজের নির্বাচনী এলাকায় (সখিপুর-নড়িয়া) অবস্থান করছেন। সখিপুর-নড়িয়ায় এ পর্যন্ত নিজের উদ্যোগে ২৫টি ইউনিয়নে ৮ ধাপে প্রায় ৫২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিত এ সহায়তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৭ হাজার। শুধু তাই নয়, জেলার ৬টি হাসপাতালে প্রায় ১২ হাজার মাস্ক ও ৩শ পিপিই বিতরণ করেছেন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন চিকিৎসদের সঙ্গে। জানছেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। জেলার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করতে নানাভাবে তাদের উৎসাহিত করছেন। এনামুল হক শামীমের উদ্ভাবিত ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয় রোগীর কাছে ডাক্তার’ ইতোমধ্যেই জনমনে সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ উদ্যোগের জন্য তিনি ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন। জানা যায়, নড়িয়া ও সখিপুর এলাকায় করোনা দুর্যোগে ঘরবন্দি মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাসেবা সহ ওষুধ প্রদান করছে সংশ্লিষ্ট দু’টি টিম। প্রতিটি টিমে দু’জন চিকিৎসক ও দুজন নার্স সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এনামুল হক শামীম তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে ত্রাণ কমিটি গঠন করে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেন ত্রাণ। ভ্যান, নসিমন, ট্রলি এবং নৌকাযোগে এসব ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় এবং দুর্গম চরাঞ্চলে। শরীয়তপুরের মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট চরে আশ্রয় নেয়া পরিবারের মাঝে নৌকা যোগে এসব সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এছাড়া মুঠোফোনে খবর পেয়েও পৌঁছে দেয়া হয়েছে অনেক ত্রাণ সামগ্রী। দফায় দফায় বিতরণকৃত এসব ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্থানীয় হতদরিদ্র জনগন।
এনামুল হক শামীমের ব্যক্তিগত জীবন বদলে যাওয়ার গল্পটা অনেক দীর্ঘ হলেও শরীয়তপুরকে বদলে দেয়ার গল্পটি অনেক গতিশীল। তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার পর বর্তমানে সরকারের হাত ধরে দেশের প্রতিটি প্রান্তরে যেভাবে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে, বিপরীতে তার সাথে পাল্লা দিয়ে শরীয়তপুরবাসী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বেড়ী বাধ, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ফালানো হচ্ছে জিও ব্যাগ। গত ২ বছর পূর্বে নড়িয়াতে শতশত ঘর নদীগর্ভে বিলীন হলেও এ বছর রক্ষা বাধ নির্মাণের ফলে এই এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। এখন আর সেখানে পদ্মার ভয়ঙ্কর গর্জন নেই আছে শীতল হাওয়া। পদ্মার পাড়ে মানুষ ঘুরতে এসে এখন আর আগের মত রোমাল দিয়ে চোখের পানি মোছে না সৌন্দয্য দেখে মুগ্ধ হয়। বিদ্যুতে বিদ্যুতে আলোকিত চরাঞ্চল। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পেয়েছে জেলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরআত্রা, নওপাড়া ও কাঁচিকাটার জনগন।
তার একান্ত প্রচেষ্টায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) এবং চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি এবং নড়িয়া উপজেলায় ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের অনুমোদন চুড়ান্ত হওয়া করোনাকালীন এই সময় বড় চমক। নতুন রাস্তার কাজ সংস্কার, ব্রিজ, কালভাট নির্মাণ এগুলো তিনি নিয়মিত কাজ হিসেবে নিয়েছেন।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।