বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও লিফলেট বিতরণ

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ইকবাল হোসেন অপু এমপি। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুরে পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও অবৈধ মজুদদারী ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পালং বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাস মো. পারভেজ হাসান রোভার স্কাউটের সদস্যদের নিয়ে পালং বাজার মনিটরিং করে লিফলেট বিতরণ করেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে লিফলেট বিতরণে অংশগ্রহণ করেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি। এই সময় শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সুজন কাজী পালং বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বেপারীসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের ব্যাপক মজুদ রয়েছে। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন আশঙ্কা নাই। মজুদদারী ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা, বাজার কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বাজার মনিটরিং করবে। কোথাও কোন অনিয়ম দেখা গেলে তাৎক্ষণিক আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রমজানকে সামরে রেখে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। চাল-ডালসহ কিছু পন্যের দাম কমেছে। মাছ-মাংসের দামও বাড়েনি। যদি বেশী দামে তাদের পণ্য ক্রয় করতে হয় তাহলে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হবে।
ক্রেতারা মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া পণ্য ক্রয় করতে পেরে আনন্দিত।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে খাদ্যে কোন সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে ভোক্তা অধিকার, বাজার কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ বাজার মনিটরিং করবে।
বাজার মনিটরিং কালে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের কোন সংকট নেই। যদি কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বাজার অস্থিতিশীল করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই বিষয়ে ইসলামও সমর্থন করেনা। ইসলাম বলে যদি কেউ অসদ্দুশ্যে পণ্য মজুদ করে রাখে তাহলে সে কুষ্টরোগ সহ দারিদ্রতার সম্মুখিন হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।