
শরীয়তপুরে ভিন্ন আঙ্গিকের ১০ দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের ভিন্নমাত্রিক চিন্তার ফসল মনন সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনের আম্র কাননে এই বই মেলা ঐতিহাসিন ৭ মার্চ পর্যন্ত বই প্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ফিতা কেটে এই মেলার উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান বলেন, অনেক বইপ্রেমী সীমাবদ্ধতার কারণে জাতীয় বইমেলায় যেতে পারেন না। সেই চিন্তা থেকে জেলার সকল বইপ্রেমীদের হাতের নাগালে সদ্য প্রকাশিত বইয়ের সাথে পরিচিত করতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে সংগ্রহের সুযোগ তৈরী করে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। আমরা বিশ^াস করি বই মানুষকে সীমাবদ্ধতার অনেক ঊর্ধে নিয়ে যেতে সক্ষম। এখান থেকে সর্বসাধারণ সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকার দামে পছন্দের ও ভালোবাসার বই কিনে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবেন। বইয়ের সাথে যাতের বন্ধুত্ব হয়ে যায়, তারা কখনো অন্যায় ও অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। বই সকলকে নৈতিক চরিত্র থেকে শুরু করে পরিবারনীতি, সমাজনীতি ও রাজনীতি সহ সকল নীতিতে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবে প্রকৃত মানুষ। আগামী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পর্যন্ত এই মেলায় বইপ্রেমীদের জন্য থাকছে বই কেনা ও পড়ার স্বাধীন সুযোগ। আমাদের সংগ্রহে রয়েছে সদ্য প্রাকাশিত বই সহ বিখ্যাত লেখকদের বইয়ের সমাহার।
ইকবাল হোসেন অপু এমপি বলেন, জেলা প্রশাসনের ভিন্নমাত্রার এই বইমেলা বইপ্রেমীদের কেবল সাশ্রয়ী মূল্যে বই কেনা ও হাতের নাগালে পছন্দের ও ভালোবাসার বই পড়ার সুযোগই করে দেয়নি, খুলে দিয়েছে জ্ঞানের দুয়ার। বিশ^বিদ্যালয় জীবন পার করার পর কখনো বইয়ের সাথে তেমন একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। কিন্তু এই বইমেলার আসার কারণে আমাকেও টেনেছে অনেক বিখ্যাত বইয়ে। আমি নিজেও উদ্বুদ্ধ হয়ে দশ হাজার টাকার বই কিনেছি। আমার আহবান থাকবে যারা আগে থেকেই বইপ্রেমী শুধু তারাই নয় সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ বই কিনে নিজেকে সমৃদ্ধ করে দেশের শক্তি হিসেবে গড়ে তুলুন। যে শক্তি আমাদেরকে ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।