
১৯ জুন রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সবার আগে গণমানুষের কথা চিন্তা করে উন্নয়ন করতে হবে। প্রত্যেক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে বসে জেলার উন্নয়নে মাস্টার প্লান করতে হবে। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। ২৬ জুন থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিস চালু হবে। জেলা শহরে কোন ডিপো না থাকায় আপাতত বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের মেঘনা সেতুর প্রাথমিক স্থরের ৭টি কাজের মধ্যে ৫টি সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বেরের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী জানুয়ারীতে মেঘনা সেতুর ডিজাইনের কাজ শুরু হবে। মেঘনা সেতুর দৈঘ্য হবে ৩.৫ কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে মংলা-চট্টগ্রাম রুটের দূরত্ব কমে যাবে। তখন পদ্মা সেতুতে যানবাহনের চাপ অনেকটা কমে যাবে। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। ৯ লাখ গৃহহীন মানুষকে জমিসহ ঘর দেওয়া বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত। এই পকল্পের কোন অনিয়মের কথা আমি শুনতে চাই না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, জেলা শহরের অবস্থা খুব খারাপ। জেলা শহরকে বাদ দিয়ে উপজেলার উন্নয়ন করা হলে জেলার সুনাম নষ্ট হবে। বাহিরের জেলা থেকে কোন মানুষ প্রথমে জেলা শহরে আসে। তখন জেলা সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা হবে। তাই জেলা শহরের উন্নয়নের জন্য পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এই সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন, সিভিল সার্জন ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) সাইফুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাজাহান ফরাজী প্রমূখ। এই সময় সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।