শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে মসজিদের টাকা ইমামদের মাঝে বিতরণ করায় ক্ষোভ

শরীয়তপুরে মসজিদের টাকা ইমামদের মাঝে বিতরণ করায় ক্ষোভ

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় মুক্তহস্তে দান সহ সমজিদের আয় কমে গেছে। মসজিদের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন।
প্রথম ধাপে শরীয়তপুর জেলায় ৩ হাজার ২৯৪টি মসজিদে প্রধানমন্ত্রীর এই আর্থিক অনুদানের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকেরও বেশী মসজিদের অনুকূলে আর্থিক অনুদান মসজিদ কমটি, ইমাম ও মুয়াজ্জিনেরা গ্রহন করেছেন।
এখন প্রশ্ন মসজিদের অনুকূলে অনুদানের এই অর্থ কোন খাতে ব্যয় হবে? ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্তা ব্যক্তিদের কথিতমতে আর্থিক অনুদান মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের হক। মসজিদ কমিটির দাবী মসজিদের অনুকূলে বরাদ্দ মসজিদের উন্নয়নে ব্যায় হবে। এই নিয়ে শরীয়তপুরের সুবিধাভোগী বিভিন্ন মসজিদ কমিটির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন দপ্তর থেকে জানাগেছে, জেলায় এই পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯৪টি মসজিদ তালিকাভুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে মসজিদের অনুকূলে চেক/নগদ টাকা বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে প্রথম ধাপের এই কার্যক্রম সমাপ্ত করা সম্ভব হবে। যে সকল মসজিদ প্রথম ধাপে বাদ পড়েছে দ্বিতীয় ধাপে সেই সকল মসজিদের তালিকা করে অনুদানের আওতায় আনা হবে।
একাধিক মসজিদ কমিটির দাবী, তারা মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন প্রতি মাসে যথা সময়ে পরিশোধ করে থাকেন। এরপরেও মসজিদের অনুকূলে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা যদি ইমাম ও মুয়াজ্জিনেরা গ্রহন করে তাহলে বিদ্যুৎ বিলসহ দৈনন্দিন অন্যান্য ব্যয় বহন করা মসজিদ কমিটির কষ্ট হবে। মসজিদ কমিটির দাবী যেহেতু মসজিদের আয় কমে গেছে তাই মসজিদের অনুকূলে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা মসজিদের তহবিলেই থাকবে।
শরীয়তপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক রনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মসজিদের আর্থিক অস্বচ্ছলতা দূরীকরণ ও দৈনন্দিন ব্যয়ের জন্য এই অনুদান। অনুদানের টাকা বিতরণের সময় আমরা বলে দিয়েছি যে মসজিদে শুধু ইমাম রয়েছে সেই ইমাম পুরো ৫ হাজার টাকা পাবে আর যে মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছে তারা এই টাকা ভাগাভাগি করে নিবেন। যে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন বকেয়া নাই সেই মসজিদের অনুদানের টাকা কি হবে? এর জবাবে উপ-পরিচালক বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন বা কমিটি যে টাকা গ্রহন করবে সেই টাকা ভোগ করবে।

জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশণা উপেক্ষা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক তার নিজেস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি মসজিদের অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত টাকা মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মধ্যে বন্টন করছেন। এতে জেলার বিভিন্ন মসজিদ কমিটির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।