
নড়িয়ার জপসা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আধারে ভ্যান চালকের ঘরের দরজা ভেঙ্গে লুটপাট পরবর্তী আগুন দিয়ে ঘর-বাড়ী পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোররাতে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের চরলক্ষিপুর গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী মরুমকদমের ছেলে নুরুল হক মকদম তার সমর্থকরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ভ্যান চালক শাহজামাল মোল্যার স্ত্রী রাশিদা বেগম।
নড়িয়া থানা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের চরলক্ষিপুর গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী মরুমকদমের ছেলে নুরুলহক মকদম, মেয়ের জামাই ওসমান শাহ এর সাথে একই ইউনিয়নের শেখপুরা কান্দি গ্রামের জানে আলম শেখের ছেলে লিয়াকত শেখের সাথে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সংঘর্ষ হয়। ওই সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় নড়িয়া থানায় উভয় পক্ষ আলাদা মামলা দায়ের করে।
এর পরে মরুমকদমের সমর্থকদের ভয়ে জানে আলম শেখের পক্ষের শাহজামাল মোল্লা তার স্ত্রী রাশিদা বেগমকে বাড়ীতে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এই সুযোগে ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে প্রভাবশালী মুরুমকদমের ছেলে নুরুলহক মকদম লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ জানে আলম শেখের আত্মীয় চরক্ষিপুর গ্রামের ভ্যান চালক শাহজামাল মোল্লার ঘরে লুট পাট শেষে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় শাহজামাল মোল্লার স্ত্রী রাশিদা বেগমের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে একটি টিনের বসত ঘর, একটি গোয়াল ঘরসহ তিনটি ঘর পুরে যায়। খবর পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। পরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মরুমকদমের ছেলে শাজন মকদম, বাদশাহ মকদম ও নুরুলহক মকদমের ছেলে রাজন মকদমকে আটক করে আদালতে প্রেরন করেছে।
ভ্যান চালক শাহজামাল মোল্যা বলেন, ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। আমি কোন মানুষের ক্ষতি করি নাই। গত শুক্রবার আমার এক আত্মীয়ের সাথে মরুমকদম ও তার ছেলে এবং মেয়ের জামাইর সাথে মারামারি হয়। এর পর থেকে আমাকে মরুমকদমের ছেলেরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেয়। আমি জীবন রক্ষার্থে প্রতিরাতে আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে থাকি। এই সুযোগে মরুমকদমের ছেলেরা আমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তদের বিচার দাবী করছি।
এই বিষয়ে নুরুল হক মকদমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে লুটপাট শেষে আগ্নিসংযোগ করে একটি বসত ঘরসহ তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।