বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে তৎপর শরীয়তপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড

নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিওব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ছবি-দৈনিক হুংকার।

বাংলাদেশ নদীমার্তৃক দেশ। অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল বিধৌত পলি মাটি দিয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি। শরীয়তপুর জেলা পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায় জেলাটি নদী ভাঙ্গন প্রবন। চলতি বর্ষা মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৬৪ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পানির চাপ ও ঘূর্ণি-প্রবাহের কারণে সব উপজেলায় কম-বেশি নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। শরীয়তপুর জেলায় জাজিরা উপজেলায় মাঝির ঘাট জিরো পয়েন্ট, বড়কান্দি, কুন্ডের চর নড়িয়া উপজেলায় পৌরসভার ঢালিপাড়া, শেরআলী মাতবর কান্দি, ঘড়িসার ইউনিয়নের সুরেশ্বর দরবার শরীফ সংলগ্ন এলাকা, বাংলাবাজার, চরআত্রা-নওয়াপাড়া এলাকা, ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া, গাজিপুর গোসাইরহাট উপজেলার ঠান্ডার বাজার, চর জালালপুর, কুচাইপট্টি, সাইক্যা, হাটুরিয়া, মশুরগাঁও, মূলগাঁও ডামুড্যা উপজেলার বিশাকুড়ি, ধানহাটা সদর উপজেলার কোটাপাড়া, চর স্বর্ণঘোষ, উফরগাঁও সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৮.০০০ কিঃমিঃ এলকায় এ বছর নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ২৭-০৮-২০২০ তারিখে সুরেশ্বর দরবার শরীফে নতুন করে ফাটল সৃষ্টির ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব জানান, পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষার্থে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় সচিব মহোদয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশণা মোতাবেক ভাঙ্গণ হতে রক্ষার্থে সুরেশ্বর দরবার শরীফ সংলগ্ন এলাকায় ভাঙ্গনের দিন হতে ঈদের মধ্যে ও অদ্য পর্যন্ত দিন রাত অব্যাহত ভাবে জিও ব্যাগ, জিও টিউব ডাম্পিং-এর মাধ্যমে জরুরী আপদকালীন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফ সংলগ্ন এলাকায় নদীর তীরের খুব কাছেই নদীর তলদেশ স্কাউরিং হয়ে ৫৩৮ মিঃ দৈর্ঘ্য, ২১৬ মিঃ প্রস্থ ও ৬০ মিঃ গভীরতা বিশিষ্ট একটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এখানে রক্ষার্থে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার জিও ব্যাগ, ৮৫০ টি জিও টিউব ডাম্পিং করা হয়েছে। যেহেতু এখন নদীতে পানির লেভেল কমে যাচ্ছে ফলে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জিওব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করে সুরেশ্বর দরবার শরীফ ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমদের কাজ অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।