বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

নড়িয়ায় ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ২

নড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নে যোগপাট্টা গ্রামে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের যোগপাট্টা গ্রামে আল আমিন কাজী তার জায়গায় ঘর তুলতে গেলে আবু কালাম খান, তার ছেলে আকাশ খান, স্ত্রী নাজমা বেগম, মেয়ে সোনিয়া, টুম্পা সহ কতিপয় লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা ঘর ভাংচুর সহ আল আমিন (৩৫), আতাউর রহমান খান (৫৫) কে কুপিয়ে আহত করে। এ ব্যাপারে মালেক খান বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত আল আমিন বলেন, আমি আমার জায়গায় ঘর তুলতে গেলে আবু কালাম খান, তার স্ত্রী ও মেয়ে বাঁধা দেয়। পরে কালাম খানের ছেলে আকাশ খান কতিপয় লোকজন এনে রাম দা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ আমার উপর হামলা করে। এতে আমি সহ আমার নানা আতাউর রহমান খান আহত হই। এলাকার লোকজন আমাদের হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানে আলম খান বলেন, আল আমিন তার জায়গায় ঘর তুলতে ছিল তখন আবু কালাম খান আল আমিনকে কাজ করতে বাঁধা দেয়। পরে আবু কালাম খার ছেলে বহিরাগত লোকজন এনে আল আমিনের উপর হামলা করে এতে আল আমিন সহ আতাউর রহমান খান আহত হয়। পরে আমরা আল আমিন ও আতাউর রহমান খানকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
চাকধ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান বলেন, আল আমিন তার যায়গায় ঘর তুলছে। এমন সময় আবু কালাম খান তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় আবু কালাম খানের ছেলে শরীয়তপুর থেকে বহিরাগত লোকজন এনে হামলা করে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং আল আমিনের উপর হামলা করে। এতে আতাউর রহমান ও মালেক খান আহত হয়। তাদের আমরা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
আবু কালাম খানের সাথে মুটোফোন কথা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এখন অসুস্থ পরে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, দুই পক্ষই দুটি অভিযোগ করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।