বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

পাসপোর্ট দালাল সিরাজের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় অভিযোগ

পাসপোর্ট দালাল সিরাজুল ইসলাম। ফাইফ ফটো।

অবৈধ উপায়ে ১৫ দিনে পাসপোর্ট করিয়ে দেয়ার জন্য লক্ষাধিক টাকায় চুক্তি করে সিরাজ মল্লিক ওরফে মাস্টার সিরাজুল ইসলাম (বীমা সিরাজ)। চুক্তির ১৮ মাস অতিবাহিত হলেও দেই দিচ্ছি করে অদ্যবধি পাসপোর্ট দেয়নি পরিবারটিকে। ইতোমধ্যে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল সিরাজ মল্লিক। অবশেষে আইনি প্রতিকার চেয়ে নড়িয়া থানায় অভিযোগ করেছে সেলিনা বেগম নামে একজন কাউন্সিলর।
সেলিনা বেগম জানায়, সে নড়িয়া পৌরসভার একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। তার ছেলে এনামুল খলিফা ইতালী প্রবাসে থাকে। প্রবাসে তার স্থায়ী কাগজপত্র করার জন্য নাম ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে নতুন পাসপোর্ট করতে হবে। সিরাজ মল্লিক নামে এক দালাল ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট বানিয়ে দিবে মর্মে এক লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে সেলিনার সাথে। ইতোমধ্যে ১৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও পাসপোর্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছে সিরাজ মল্লিক। এখন তার ছেলের পাসপোর্ট অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। সিরাজ এখন পাসপোর্ট দিচ্ছে না বা টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এখন টাকার দাবীতে সেলিনা বেগম নড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরও জানায়, এক পর্যায়ে পুলিশ তদন্তে আসে। পুলিশের সাথে বিষয়টি সমাধান করি। এতোকিছুর পরেও আমার ছেলের পাসপোর্ট হচ্ছে না। ছেলে ইতালী থেকে আমার সাথে রাগারাগি করে। এই পাসপোর্ট না হলে সেখানে আমার ছেলের বিপদ হবে। এই সব কিছুর জন্য সিরাজ মল্লিকই দায়ী।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানায়, সিরাজ মল্লিক ওরফে মাস্টার সিরাজুল ইসলাম একজন বীমা কর্মী। এখন আবার শুনছি পাসপোর্টের দালালীও করে। এই ঘটনা প্রকাশ না পেলে তার চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানা যেতনা।
এই বিষয়টি মাস্টার সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মল্লিক প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে বলেন, এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি থানার সাথে বুঝব। আমি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক না।
অভিযোগের তদন্ত অফিসার নড়িয়া থানার এসআই মামুন বলেন, এই বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে পৌরসভার এক কাউন্সিলর লিখিত অভিযোগ করে। আমি বিষয়টি তদন্ত শুরু করি। এক পর্যায়ে পৌরসভার অপর এক কাউন্সিলর বিষয়টি ১ মাসের মধ্যে মীমাংসার জন্য দায়িত্ব নিয়েছে। এই পর্যায়ে মীমাংসা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।