পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সরকারের সমালোচনাই বিএনপি’র এখন একমাত্র কাজ। এটা তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। অথচ জনগনের পাশে তাদের পাওয়া যায় না। করোনা সংকট নয়, কোন দুর্যোগেই বিএনপি মানুষের পাশে থাকে না। ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট-দূর্নীতি আর বিরোধী দলে থাকলে আগুন সন্ত্রাস করে। আর মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত মানুষের কল্যানে কাজ করছেন। মানুষের কল্যানই আওয়ামীলীগের রাজনীতি। মানব সেবাই বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রধান ব্রত। এজন্যই বাংলাদেশের মানুষ অতিতের মতোই ভব্যিষতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল থাকবে এবং দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।
তিনি বুধবার ১৫ জুলাই শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এর পূর্বে তিনি পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের এলাকা পরির্দশন ও পরে নড়িয়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় যোগদান, মসজিদ, মন্দির ও স্কুল সমূহকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে অনুদান, ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থের চেক প্রদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রূপা রায় সহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, করোনা দূর্যোগের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাজার হাজার শ্রমিক দিয়ে নদী ভাঙ্গন এলাকা ও বন্যার্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের মন্ত্রীরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ঝুকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিএনপি বন্যাসহ কোন দুযোর্গে মানুষের পাশে থাকেনি। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী। তিনি ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছেন, তারা কেউ না খেয়ে থাকেননি। বাংলাদেশের একটি মানুষ না খেয়ে থাকুক, তিনি সেটা চান না। করোনা দুযোর্গে বাংলাদেশের কোথাও একটি মানুষ না খেয়ে থাকার খবর মেলেনি। আমার নির্বাচনী এলাকার ২৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টি চরদূর্গম এলাকা। সেখানে প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন। ইমাম, মুয়াজ্জিন, জেলে-তাঁতী, বেঁদে মুচি এমন শ্রেনী পেশার মানুষ নেই, যারা নেত্রীর দেয়া সহায়তা পাননি।
বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষনিক সকল বিষয় খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।