সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৪ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

নড়িয়াবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছেন চিকিৎসক দম্পতি

ডা. খালেদ শওকত আলী ও তার সহধর্মিনী ডা. তানিয়া খালেদ। ফাইল ফটো।

করোনা ঝুঁকিতেও থেমে নেই চিকিৎসক দম্পতি। সার্বক্ষনিক নড়িয়াবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ডা. খালেদ শওকত আলী ও তার সহধর্মিনী ডা. তানিয়া খালেদ।
যখন করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে অনেক চিকিৎসক এমনকি মৃত্যুর কাছে পরাজয় বরণ করেছেন অনেকে। কোন ভয়-ভীতি এই দম্পতিকে থামাতে পাড়ছে না। ৭১ ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ঢাকার মহাখালীতে সপ্তাহে ৪ দিন নিরলস দায়িত্ব পালন শেষে নড়িয়া মাজেদা হাসপাতালে প্রতি বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত রোগী দেখেন তারা।
পিতা-মাতার ন্যায় ডা. খালেদ শওকত আলী নড়িয়াবাসীদের ভালোবেসে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দিন রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেখানেই না থেমে থেকে করোনাকালীন ঘরমুখী মানুষের খোঁজ খবরও নিয়েছেন এই দম্পতি। তারা নড়িয়া-সখিপুরের অসহায় কর্মহীন দুস্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। সুবিধা বঞ্চিত মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদ সামগ্রী, স্বাস্থ্য ও সচেতনতা প্রচারে লিফলেট।
ডা. তানিয়া খালেদ বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি ও দুর্যোগকালে দায়িত্ব পালন করছি মানবতার দায় থেকে। কোন প্রাপ্তির আশা না করে সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ মানুষের পাশে থেকে করোনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি। সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাস নামের অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। দেশ ও জাতিকে রক্ষার্থে এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসা সেবা ছাড়াও মোবাইল এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
ডা. খালেদ শওকত আলী বলেন, মানবসেবার পেশায় আমি একজন সৈনিক। আমার পিতা-মাতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে শত্রæর বিরুদ্ধে লড়েছে। আমি তাদের সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যার ডাকে করোনা নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ করছি। ফেসবুক গ্রæপে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রচারনা চালিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি। নিশ্চিত করছি চিকিৎসা সেবা।
তিনি আরো বলেন, আমরা পেশায় চিকিৎসক। চিকিৎসা দিয়ে করোনা থেকে মানুষকে মুক্ত করব। চিকিৎসাকালে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকের পরাজয় হয়। আর করোনার ভয়ে দায়িত্বে অবহেলা করাও পরাজয়। সকলের সচেতনতায় করোনাকে পরাজিত করতে পারব। করোনার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।