রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৩ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

১০ বছর যাবৎ শিকল বন্দি জীবন নড়িয়ার শুকুম চৌকিদারের

১০ বছর যাবৎ শিকল বন্দি জীবন নড়িয়ার শুকুম চৌকিদারের
১০ বছর যাবৎ শিকল বন্দি জীবন নড়িয়ার শুকুম চৌকিদারের

নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের মোঃ শুকুম চৌকিদার (২৮) দশ বছর ধরে শিকলে বন্দি জীবন যাপন করছেন। বাড়িতে একটি ছোট ঘরে খুঁটির সাথে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দিনরাত একাকার তার। পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছে ছোট বেলা থেকেই শুকুম মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। এখন শুকুম একজন রীতিমত মানসিক রোগী। শুকুমের চিকিৎসায় ডাক্তার-কবিরাজ ও ফকির সহ সকল প্রকার চেষ্টা চালিয়ে শুকুমের পরিবার এখন সর্বশান্ত।
সরিজমিন গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ডিঙ্গামানিক জালিয়াহাটি গ্রামের প্রয়াত আঃ হাশেম চৌকিদার ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে শুকুম চৌকিদার ছোট। শুকুমের বড় ভাই পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ও মেঝ ভাই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী। অসুস্থ শুকুমের বড় দুই ভাই ও তাদের স্ত্রীরা শুকুমের দেখাশোনা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানাগেছে, শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রকারের চিকিৎসা করেও রোগের কোন প্রকার উন্নতি না হলে দিনদিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে শুকুম। মানসিক অবস্থার অবনতি হলে প্রায় ১০ বছর ধরে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে।
উন্নত চিকিৎসা পেলে শুকুম সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা। শুকুমের চিকিৎসা ব্যায় বহন করার ক্ষমতাও নাই শুকুমের ভাইদের। কোন হৃদয়বান মানুষ ও সরকারের সহায়তা পেলে হয়তো শুকুমের সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হতো বলেও ধারণা তাদের।
মোঃ জব্বার আলী বেপারী, আঃ মজিদ বেপারী, লিটন চৌকিদার সহ স্থানীয়রা জানায়, শুকুমের পরিবার অনেক অসহায়। টাকার অভাবে অনেক কিছুই করতে পারে না। ভালো চিকিৎসা দিতে পারলে হয়তো সে ভালো হয়ে যেত। শুকুমের ভাবী পারুল বেগম জানান, ওকে ছেড়ে দিলে দূরে কোথাও চলে যায়। এলাকার ছেলে-মেয়েরা ওকে নিয়ে হাসি তামাশা করে। তাই ওকে বেঁধে রাখা হয়েছে। যদি টাকার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে ওর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। শুকুমের চিকিৎসার জন্য এই পরিবার সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।