বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশকে থামিয়ে রাখা যাবেনা: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

নড়িয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করছেন উপজেলা সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। ছবি-দৈনিক হুংকার।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ় সাহসিকতা ও নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে প্রশংসিত। তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা ধারাবাহিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের মানুষ তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্যই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের পবিত্র ভোট দিয়ে পঞ্চমবারের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কে প্রধানমন্ত্রী করবেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এনামুল হক শামীম তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এর পূর্বে উপমন্ত্রী নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের মান্ডা মাদ্রাসা থেকে বিশুরগাঁও, বিঝারী-ভেনপা সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে থামিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল যতই ঐক্যের জোট করার কথা বলুক না কেন তাদের দলের নেতাকর্মীরাই তাদের ঐক্যের সঙ্গে নেই। বিএনপি আজ জনবিচ্ছিন্ন দল। বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা শেখ হাসিনা মেধা, যোগ্যতায় সারাবিশ্বকে নেতৃত্বে দিতে পারেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্দোলন করতে শক্তি লাগে, বিএনপির সেই শক্তি নেই। আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ষড়যন্ত্র মোলাবেলায় প্রয়োজনে দিনরাত রাজপথে থাকব। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।
শামীম বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করেছে। জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রহসনমূলক হ্যাঁ/না ভোট এবং সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছিলেন যাতে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। দেশের মানুষ ভোট কারচুপি কখনো মেনে নেয়নি বলেই নির্বাচনের দেড় মাসের মধ্যে আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়েছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওহাব বেপারী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি ও বিঝারী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ কাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম মাস্টার, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মহসিন মাদবর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান, নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকাশ, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান খালাসী, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।