
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাড়ীতে নিহত হন নাগেরপাড়া ইউনিয়ন ১,২,৩ নং ওয়ার্ড স্বাস্থ্য সহকারী ইলিয়াছ কাঞ্চন টিটু। তার হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে পথে নেমেছে নিহতের পিতা, মাতা, স্ত্রী ও ২ বছরের শিশুসহ তিন পুত্র।
২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নাগেরপাড়া বাজারে এলাকবাসীর সাথে তারা সমবেত হয়ে গোসাইরহাট-শরীয়তপুর সড়কে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। এসময় গোসাইরহাট থেকে শরীয়তপুর গামী উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিহতের পিতা নাগেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ আবদুল জলিল বলেন, রাজনীতি ও স্থানীয় দ্বন্দ্বেই আমার বড় ছেলেকে ওরা হত্যা করেছে। গত মে মাসের ১৫ তারিখ আমার নাতী মাহাবুব আলম ও সাইফুল ইসলামকে জখম করার পর থানায় জিডি করার ঘটনার জেরে ঐ জখমকারীরা রাতের আধারে তার শোবার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
বিক্ষোভ চলাকালে নিহতের মা রশিদা বেগম করুন কান্নায় পথের মাঝে লুটিয়ে পরেন। নিহতের স্ত্রী মিলি আক্তার বলেন, “যার চলে যায়, সেই বুঝে হায়, বিচ্ছেদে কি যন্তণা” আমি আপনাদের বলে বুঝাতে পারবোনা কিভাবে কি হলো। ঘটনার রাতে মরনখার ছেলে মোজাম্মেল খা ও শাহ আলম আকনের ছেলে রাশেদ আকন আমার স্বামীকে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সকালে পাশের টিনের ঘরে তার মৃত দেহ পাই। আমার তিন অবুঝ পুত্রদের নিয়ে কি ভাবে বাঁচবো? তাদের কিভাবে মানুষ করবো?
বাবার হত্যার বিচার চাইতে মায়ে কোলে চড়ে পথে নেমে আসেন ২ বছরের শিশু আফিফ, ৫ বছরের মুশফিক ও ১৪ বছরের অনিক। ছোট দুই ভাই মুখে কিছু বলতে না পারলেও হাজার জনতার সমাবেশে বাবার অভাব অনুভব করে অশ্রুসজল ছল ছল চোখে খুঁজে ফিরে তুমি কোথায়, বাবা?
১৪ বছরের অনিক জানতে চায় তার বাবা কি আর কোন দিনই আসবেনা? বাবা কখনো ২/১ দিনের বেশী কোথাও গিয়ে থাকেনা! অনেক দিন হয়ে গেলো বাবা এখনো কেন আসেনা?
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।