বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

মানবিক ইউএনও’র সহায়তায় মায়ের কোলে শাওন

হারিয়ে যাওয়া শাওনকে তার মায়ের কাছে তুলে দিচ্ছেন ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ। ছবি-দৈনিক হুংকার।

৯ কি ১০ বছরের শিশু শাওন আপন পিতা-মাতার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য অঝোরে কাঁদছিল। পিতার মমতায় তাকে স্থান দিয়ে নিজ কার্যালয়ে এনে তাকে আপন জনের ঠিকানায় পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহন করেছেন ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ।
জানা যায়, সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে সাইফুল ইসলাম শাওন নামে এ শিশুটি মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রহারে পালানোর জন্য সদরঘাট থেকে ভূল করে ডামুড্যা লঞ্চে উঠে ঘুমিয়ে পরে। এরপর লঞ্চ ডামুড্যা চলে আসলে শিশুটি পথ হারিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাৎক্ষণিক লোক মারফত শিশুটিকে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। সংবাদ দেন ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান পিপিএমকে। তিনি আসার পরে জিজ্ঞাসাবাদে শাওন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায় আমি ঢাকার পোস্তগোলা এলাকায় তাইসুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায়পড়ি। শনিবার দিন মাদ্রাসার হুজুর আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। আরো যদি মারে সে ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে লঞ্চে উঠে ঘুমিয়ে পড়ি। তার পরে কি হয়েছে আর কিছুই বলতে পারিনা। এখন এখানে এসে কাউকে চিনিনা।
শিশুটি জানায় তার বাবার নাম নাজিম উদ্দিন, মায়ের নাম শেফালী বেগম। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শান্তি নগর এলাকায় ভাড়া থাকেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডামুড্যা থানা অফিসার ইনচার্জ এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পরলে শাওনের মা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ডামুড্যায় এসে তাকে গ্রহন করে।
এসময় শাওনের মা আবেগ তাড়িত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মানুষ করার জন্য আমার সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষকের অমানবিক নির্যাতনে আমার সন্তানকে আজ হারাতে বসেছিলাম। ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় আমার সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। আমি আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ বলেন, শিশুটির সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই আমি লোক পাঠিয়ে তাকে আমার জিম্মায় নিয়ে আসি। এর পর ওসি সাহেবের সহযোগিতায় তার ঠিকানা সন্ধান করি এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় দ্রুত সংবাদটি আমরা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এর ফলে শিশুটি মা জানতে পেরে মঙ্গলবার আমার কার্যালয়ে এসে তার সন্তানকে শনাক্ত করে নিয়ে যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।