বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ডামুড্যায় প্রতিপক্ষের হামলায় ব্যবসায়ীসহ ৪ জন আহত

ডামুড্যায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ব্যবসায়ী তুহিন সরদার (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি মডেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক মোল্লাকান্দি গ্রামের শাহে আলম সরদারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ব্যবসায়ী তুহিন সরদারের বড় খালা জিন্নাত নেছার জমিতে স্থানীয় লালমিয়া সরদার ও তার সহযোগীরা জোর করে ঘর তুলছিলেন। ঘর তুলতে বাধা দিলে জিন্নাত নেছাকে ভূমিদস্যুরা মারধর শুরু করে। ওই সময় তুহিন সরদার মারধর ও জমি দখলের ভিডিও ধারণ করতে গেলে কুদ্দুস সরদার তুহিন সরদারকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। তুহিনকে ওই দিন রাতেই ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে হাসপাতাল নিয়ে অস্ত্রপাচার করা হয়। বর্তমানে তুহিন সরদার হাসপাতালের বিছানায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। এ সময় তুহিন সরদারেকে বাঁচাতে আসলে তার বাবা শাহে আলম সরদার ও মা খালেদা বেগমকেও কুপিয়ে জখম করে লালমিয়া সরদারের সহযোগীরা। তুহিনের বাবা-মা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জিন্নাত নেছা বাদী হয়ে ১১ জন আসামী করে ডামুড্যা থানায় মামলা করেছেন।
মামলারবাদী জিন্নাত নেছা অভিযোগ করে বলেন, মডেরহাট বাজারে পাশে লাল মিয়া সরদারের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে লাল মিয়া সরদাররা স্থানীয় সন্ত্রাসী ভাড়া করে জোরপূর্বক জমিতে ঘর তুলতে এসেছিলো। সেই জমিতে ঘর তুলতে বাধাদিতে আসলে তারা আমাকে মারধর করে। আমার বোনের ছেলে তুহিন সরদার সেই জমিদখল আর মারধরের ভিডিও ধারণ করতে আসলে লালমিয়া সরদারের ভাই কুদ্দুস সরদার আমার বোনের ছেলেকে দাড়ালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তখন আমার বোন ও আমার বোনের স্বামী আমাকে ও আমার বোনের ছেলেকে বাঁচাতে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছ থেকে।
অভিযুক্ত লাল মিয়া সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শরীফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামীদের ধরার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে আসামীদের ধরে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।