ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠিতে ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাইয়ের হাত ভেঙ্গে গেছে। বড় ভাই ও তার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্থানীয় ভাবে কোন বিচার না পাওয়ায় আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের কফিল উদ্দিন তালুকদার। তিনি দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও আনোয়ার হোসেন তালুকদার নামে দুই জন পুত্র সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন। তার রেখে যাওয়া দুই সন্তানের মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে আনোয়ার হোসেন তালুকদার দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের কাছে জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নেয়। পরবর্তীতে সেই জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এই নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যকার বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে দেলোয়র হোসেন তালুকদার গাছ কাটতে গেলে আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে গাছ কাটতে শুরু করলে আনোয়ার হোসেন তালুকদার তার ভাই দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও ভাবি কল্পনা বেগমকে মারধর করে।
আহত দেলোয়ার হোসেন তালুকদার জানায়, পূবে জমি বিক্রির কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নেয় আনোয়ার। সেই জমি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। আমার টাকাও ফেরৎ দেয়নি। আমার জমির একটি শিমুল গাছ ১ হাজার ৭০০ টাকায় কিক্রি করেছে। সেই গাছ কাটতে শুরু করলে আনোয়ার হোসেন তালুকদার এসে আমাকে মারধর করে। আমার স্ত্রী কল্পনা বেগম বাধা দেওয়ায় তাকেও মারধর করে। বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানিয়েছি।
ধানকাঠি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলী আজগর কাজী বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছে। আজ তারা মারামারি করেছে। দুইজনই আমার কাছে এসেছিল। দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের হাত ফুলা ছিল আর আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কানে রক্ত ছিল। তারা স্থানীয় ভাবে বসতে চায়না তাই আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।