
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নির্যাতন, ঘর ভাঙ্গা, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবার। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় ডামুড্যা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রব মিয়া বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। বর্তমানে আমার বয়স ৭৫ বছরের বেশি। ডামুড্যা বাজারে দীর্ঘদিন সততা ও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেছি। ২০১২ সালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচে আমার ওপেন হার্ট সার্জারি হয় এবং তারপর থেকেই আমি অসুস্থ জীবন যাপন করছি। বর্তমানে আমি নানা শারীরিক জটিলতা ও চোখের রোগে আক্রান্ত। বাড়ি থেকে মসজিদ এবং বাজার এতটুকু জায়গাতেই আমার চলাচল সীমাবদ্ধ। এ অবস্থায় আমাদের প্রতিবেশি লাল মিয়া দর্জির থেকে আমার বড় ছেলের ক্রয়কৃত জায়গা অন্যায়ভাবে দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার মতো একজন বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের পক্ষে কি তাদের ওপর হামলা করা সম্ভব? সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সহায়তা চাইছি। যেখানে ২০১৪ সালে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের প্রবীণ ব্যক্তিদের সমাজ ও রাষ্ট্রে অবদান রাখার জন্য “সিনিয়র সিটিজেন” হিসেবে ঘোষণা দেন। রাষ্ট্রপতির ঘোষণায় বলা হয়েছে, হাসপাতাল, ব্যাংক, অফিস ও আদালতসহ সব নাগরিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবীণদের অগ্রাধিকার দিতে সমাজের দায়বদ্ধতা রয়েছে। লাল মিয়া দর্জির ছেলে মেয়েরা তারা হলেন মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসরিন রহমত উল্লাহ, ছৈয়দা শামিমা, মাহমুদা আকবর, মাহবুবা আক্তার আমার পরিবারের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে ঘর ছাড়া করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছি। লাল মিয়া দর্জির ছেলে মেয়েরা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং আমাদেরকে আমাদের বাড়ি থেকে উৎখাতের কথা বলছে। তাদের নৈতিক চরিত্র এতটাই নিচু যে যেকোনও সময় আমাদের ওপর হামলা করতে পারে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা চাইছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাইফুল ইসলাম প্রিন্স, সেলিনা আক্তার ও কাঞ্চন মালাসহ পরিবারের সদস্য।
এ সময় তার পুত্র বধু সেলিনা আক্তার বলেন, আমার দুই সন্তান নিয়ে কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে দেনা করে লাল মিয়া দর্জি থেকে ৮ শতাংশ জমি কিনি। এখন সেই জমিতে আমি ছোট একটি ঘর করি। সে ঘরটি করতে গিলে লাল মিয়া দর্জির ছেলেরা সাথে তার মেয়েরা আমার ঘর ভেঙে দেয়। তারা নিয়মিত আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া ডামুড্যা থানায় আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা করেছে। এর আগে ঘর ভাঙ্গার সময় আমার স্বামীকে তারা নির্মমভাবে আহত করে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।