
১৯ মে,মঙ্গলবার বিকেলে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ছয়গাঁও ইউনিয়নের মনুয়া গ্রামের দুলাল বেপারীর বাড়ির লকডাউন তুলে নিয়েছে।
এসময় উপজেলার নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ, আবাসিক মেডিকাল অফিসার মাসুম আবিদসহ উপজেলা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার যখন ফুল ফল আর ইফতার সামগ্রী দিয়ে দুলাল বেপারীর স্ত্রী- ছেলেকে শুভেচ্ছা জানান। তখন রোকেয়া বেগম(৩৮) এর প্রশ্ন স্যার এখন আমিকি আমার সন্তানদের কোলে নিতে পারবো? এক মাস ৬ দিন হোম কোয়ারান্টাইন থাকার পর মায়ের মুক্তির এ আনন্দ ঘনমুহুর্তে অশ্রুসিক্ত হয়ে পরেন উপজেলা প্রধান। উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৩৮) ও ছেলে সাকিব (১৭) এর দেহে পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরে গত ৭ মে এবং ১৪ মে দুই দফা পরীক্ষায় তাদের দেহে করোনার ফলাফল নেগেটিভ আসে।এ কারনে দীর্ঘ ১মাস ৬দিন ঘরবন্দি থাকার পরে মা এবং ছেলেকে মুক্ত ঘোষনা করা হয়।
ফুলেল শুভেচ্ছাকালে সেখানে এক অাবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। চোখের সামনে থেকেও পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকা রোকেয়া বেগম তখন ব্যাকুল ছিলেন নিজের বড় ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে, স্বজনদের কাছে যেতে।
তখন উপস্থিত নির্বাহী অফিসার ও চিকিৎসকের কাছে তিনি প্রশ্ন করেন,স্যার,আমি আমার ছেলেরে ধরতে পারমু?
মায়ের এ ভাল বাসা মাখা আবেগময় প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তাগন উত্তর দেন “হ্যা অবশ্যই” পারবেন। এমন উত্তর দিতেই নিজের ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফলেন রোকেয়া বেগম।তার অশ্রুসিক্ত নেত্র যুগল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছিল জলস্রোত।
এদৃষ্যে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে নিজের মাকে হারোনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ এর পকেটে থাকা টিসুপেপার হাতে ভরকরে চোখ দুটো ঢেকে ফেলে। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই তখন আবেগতারিত হয়ে কল্পনার শৈশব কৈশরে হাড়িয়ে যায়। মন চলে যায মায়ের আঁচলে চোখে পানি মুছতে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।