
রাজশাহীকে আমের বিভাগ, চাপাই নবাবগঞ্জকে আমের শহর বলা হলে আমাদের ভেদরগঞ্জে চরচান্দার গ্রামের মামুনুর রশিদ হাসিবের আম বাগানকে বলা যায় আমের জাদুর ঘর।
বাংলাদেশের কারো বাগানে এক সাথ এত প্রজাতির আম খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যতগুলো জাত তার বাগানে রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন হর্টি কালচার সেন্টারে যোগাযোগ করে জানা গেছে তাদের সংগ্রহের ২০ টির বেশী প্রজাতি নেই। সেখানে মামুনের বাগানে ২৮ টি উন্নত প্রজাতির দেশী বিদেশী জাতের আম রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তরুন সৈনিক,উপসহকারী কৃষি অফিসার মামুন সখে বসেই এক একর জমির উপর দীর্ঘ ৫ বছরে সাধনায় ২৮ প্রকারের আমের জাত সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। এখনও সে আমের নতুন জাত বাজারে আসছে শুনলেই সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন আম পাগল এ মানুষটি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে তার বাগানে সারা বছরই কোন না কোন জাতেররআম পাওযা যাবেই। বাগানের মালিক মামুন বলেন, কৃষি নিয়ে পড়া লেখা, কৃষিতে কর্মজীবন।তাই কৃষি নিয়ে নতুন কিছু করার স্বপ্ন থেকে এ বাগান করা। আমি বাগানটি সবেমাত্র দাড় করিয়েছি। দোয় করেন আমি বাগনের মাধ্যমে সবাইকে ভাল কিছু উপহার দিতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রতন কুমার ঘোষ বলেন,আমার সহকর্মী মামুন সখে বসে আমের জাত সংগ্রের নেষা থেকে তার বাগানটি গড়ে তুলেছে। তার বাগানে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যতগুলো জাত আবিস্কৃত হয়েছে তার প্রত্যেকটি জাত তার বাগানে পাওয়া যায়।
আম্রপলি, গৌড়মতি, হিমসাগর, কাটিমন, ব্যানানা হাড়ি ভাঙ্গা, বারিআম-৪, বারি আম-৯, বারি আম-১১, ইন্ডিয়ান চোষা,দেশী চোষা,মল্লিকা, গাগ ফজলি, রাজশাহী ফজলী,খিরসাপাত,কোহিতর,কিউজাইন,ডকমাই,আশ্বিনা,মলিমার, ব্র্যাক স্টোর,আমেরিকান কেইন, গোপারভোগ, সুরমা, বাউ আম- ৩, মহাচনক, ল্যংড়া।
চরচান্দা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিন হাওলাদার বলেন, মামুনের আম বাগাটি যেম পরিপাটি তেমন সমৃদ্ধ। এক বাগানে এক সাথেরএতগুলো জাত পাওয়া সত্তিই বিশাল ব্যাপার।আমি ওর দেখে ছোট আকারে ২ টি বাগান করেছি তাতে প্রায় ৬ শতাধিক গাছ আছে।
চর পাইয়াতলী গ্রামেরর কর্নেল(অবঃ) ফয়সাল বলেন, আমার পাশের গ্রামে মামুনের আম বাগানে কথা শুনে দেখতে যাই। তার বাগান দেখর আমি আর নিজেকে সঞ্জোত রাখতে না পেরে আম বাগান করার উদ্যোগ নেই। আমার বাগানে এত বেশী জাত নেই।
ডিএম খালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন,বাংলাদেশের কোথউ যখন আম পাবেন না তখন মামুনের বাড়িত চলে আসবেন।আপনী এখানে আম পাবেনই।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমার সহকর্মী মামুনের বিভিন্ন জাতের আম বাগানের মাধ্যমে এলাকাবাসী আকৃষ্ট হচ্ছে। আমি মামুন কে অনুরোধ করেছি ফল ঊৎপাদনের পাশাপাশি চারা করে এলাকাবাসী মাঝে ছড়িয়ে দিতে।তাহলে আমাদের পুরো উপজেলাই দেশী বিদেশী আমে সমৃদ্ধ হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।