
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ৮ বছরে কন্যা শিশু ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখতে ও আলামত নষ্ট করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালী মহল ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল। ঘটনার ২দিন পরে ধর্ষকের মা ও চাচী ধর্ষিতাকে স্থানীয় একটি বে-সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ক্ষত স্থানে সেলাই করে আনেন। অবশেষে ঘটনার ৮দিন পরে ধর্ষিতা শিশুর পিতা বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার, ধর্ষিতার পারিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের এক রিক্সা চালকের ৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ৫৭ নং নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রিকে গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে পার্শ্ববর্তী এক বাগানে নিয়ে একই গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের ১৬ বছর বয়সী ছেলে ও স্থানীয় প্যাসিফিক ল্যাবরোটরি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শিশির ধর্ষণ করে। ধর্ষণ পরবর্তী ধর্ষক ওই শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের কথা গোপন রাখতে বলে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এদিকে ধর্ষকের চাচা নারায়নপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য বাবলু ফকির বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারের উপর চাঁপ সৃষ্টি করতে থাকে। ধর্ষিতা শিশুটির রক্তক্ষরন বন্ধ না হলে ভেদরগঞ্জ মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা (ক্ষত স্থানে সেলাই) করায় ধর্ষকের মা জাকিয়া ও চাচী সিমা। পরবর্তীতে ভিকটিমকে বাড়ী নিয়ে যায় তারা। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার আটদিন পরে থানায় সংবাদ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় ২৪ অক্টোবর শনিবার রাত ৮টার দিকে মামলা হয়েছে। থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে ধর্ষক ও তার পরিবারের সকল সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদী বলেন, আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে ধর্ষক ক্ষতবিক্ষত করেছে। আমি একজন গরীব রিক্সা চালক। আমি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
ভিকটিমের দাদী জানায়, ধর্ষণের ৭দিন পার হয়ে গেলেও থানায় যেতে পারিনি। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় নাতনিকে নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে সক্ষম হয়েছি।
বাবলু মেম্বার বলেন, আমার ভাতিজা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আলামত ধ্বংস করা বা থানায় যেতে বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে আমার কোন হাত ছিল না।
ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম রশিদুল বারি বলেন, ধর্ষিতার পিতার আবেদনের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।