সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৪ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ভেদরগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

ভেদরগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য। ছবি-দৈনিক হুংকার।

এবার “কোভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ভেদরগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
সকালে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে একটি র‌্যালি বাহির হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ মাঠে এসে শেষ।
উপজেলা পরিষদ শহীদ আক্কাস-শহীদ মহিউদ্দিন মিলনায়তনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতানা রাজিয়া, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আল আমীন হাওলাদার, মোঃ চঞ্চল শেখ, মশিউল আজম, গৈড্যা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন, মধ্য মহিষার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালাহ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক আপেল মাহমুদ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, সাক্ষরতা দিবসটি বিশ্বের সাথে মিল রেখে আমাদের দেশে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীনতার পর পরই দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করে। এর পরে তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ হাজার বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করে অনন্য নজির স্থাপন করেন। করোনা কালে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হলেও ডিজিট্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জুম ও টেলিভিশনের সাহায্যে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম চলছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে।
সভাপতির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা রয়েছে ৪ নম্বরে। এখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা এবং সবার জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রাটি অর্জিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কাজটি সহজে হয়ে যেতে পারে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত মানুষদের সাক্ষরতাদানের উদ্দেশ্যেই ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। করোনাকালে ১৮৫টি দেশের ১৫৪ কোটি ২৪ লাখ ১২ হাজার শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।