বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ভেদরগঞ্জে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

ভেদরগঞ্জে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছেন অতিথিবৃন্দ। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সরকারি ভর্তুকি মূল্যে ৩০টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৫টি পাওয়ার ক্রেসার মেশিন (ধান মাড়াই যন্ত্র) ও ১টি মেইন শেলার (ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র) ৬ জন কৃষকের হাতে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম, উপসহকারি কৃষি অফিসার আবু হানিফ, মামুনুর রশীদ হাসিবসহ উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানাগেছে, সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় চলতি রবি মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৩০টি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে পাওয়ার টিলার কাম সিডার মেশিন, পাওয়ার ক্রেসার ও মেইন ক্রেসার। এরমধ্যে ৬টি মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বাদবাকী ২৪ টি মেশিন দ্রুত বিতরণ করা হবে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি শ্রমিক নির্ভরতা কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা ৬টি মেশিন সরকারি ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করেছি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার কৃষক ডিএমখালি ও চরকুমারিয়ার কৃষক সাইদুল ও নজরুল বলেন, অধিকাংশ কৃষি শ্রমিক এখন পেশা পরিবর্তন করেছেন। তারা অন্য পেশায় চলে গেছেন। জমিতে কষ্টের কাজ কেউ করতে চায় না। নতুন প্রজন্মও এ কাজে তেমন আসছে না। তাই আমাদের এলাকায় কৃষি শ্রমিকের বড় অভাব দেখা দিয়েছে। ফসল আবাদ, কর্তণসহ বিভিন্ন কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। আমরা ফসল ফলাতে ও ঘরে তুলতে বিপাকে পড়ে যাই। তাই সরকার প্রধান আমাদের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে যান্ত্রিকী করণের উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। ভর্তুকিমূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি আমরা নিচ্ছি। ফলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। শ্রমিক খুবই কম লাগছে। এ পদ্ধতির চাষাবাদে সার-সেচ-বীজ পরিমানমত ব্যবহার করছি। এতে এগুলো সাশ্রয় হচ্ছে। সেই সাথে ফসল উৎপাদন বেড়েছে। এ কারণে কৃষি কাজে আমরা লাভবান হতে পারছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।