বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

কার ভুলে দাখিল পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ছাত্রী

প্রতিবন্ধী ছাত্রী নাছিমা আক্তার। ছবি-দৈনিক হুংকার।

ফরম পূরণ থেকে শুরু করে সকল আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করেও দাখিল পরীক্ষার প্রবেশ পত্র পায়নি এক প্রতিবন্ধী ছাত্রী। শরীয়তপুরের সখিপুর সোলাইমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটেছে। কার ভুলে এই সমস্যা হয়েছে তাও জানা সম্ভব হয়নি। কেউ এই ভুলের দায়ও স্বীকার করছে না। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বস্ত করেছে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
জানাগেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ছৈয়াল কান্দি গ্রামের কৃষক মজিবল মাঝির শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে নাছিমা আক্তার সখিপুর সোলাইমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্রী। ২০২৩ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে ফরম পূরণের টাকা পরিশোধ করে সে। এখন তার সহপাঠীরা পরীক্ষা ও পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করলেও সময় কাটছেনা পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীর। বিষন্নতায় ভুগছেন সে। প্রতিকার চেয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও শরীয়তপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করেছেন ওই ছাত্রী।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নাছিমা আক্তার জানায়, আমি প্রতিবন্ধী হয়ে সমাজে এবং পরিবারের বোঝা হয়ে আছি। মনযোগ সহকারে পড়ালেখা করতাম দাখিল পাশ করে নিজে কিছু করার জন্য। পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত ফিসহ ফরম পূরণ করেছি। পরীক্ষার পূর্বে মাদরাসায় গিয়ে জানতে পারি আমার প্রবেশপত্র আসেনি। কার কারণে আমার ফরম পূরণ হয়নি সেই দায় কেউ স্বীকার করছে না। আমার সহপাঠীরা পরীক্ষা ও পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু আমার সময় কাটছে না।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ১৩ মার্চ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর পূর্বে মাহাবুব আলম ভারপ্রাপ্ত সুপার ও শ্রেণি শিক্ষক ছিলেন টিউলিজ রহমান কলি। তারাই বলতে পারবেন কি কারণে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়নি।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বড় মিয়া বলেন, শ্রেণি শিক্ষক টিউলিজ রহমান কলি তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সুপার মাহাবুব আলমকে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা ও পেপারস দিয়েছে। সেই অনুযায়ী পরম পূরণ হয়েছে। টিউলিজ রহমান মারাসায় কর্মরত রয়েছে আর ভারপ্রাপ্ত সুপার মাহাবুব আলম অন্যত্র চলে গেছেন। তারাই বলতে পারবেন কি হয়েছিল।
মাদরাসার শ্রেণি শিক্ষক টিউলিজ রহমান কলি বলেন, শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও টাকা সংগ্রহ করে জানুয়ারীর ৪ তারিখের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত সুপার মাহাবুব আলমের কাছে জমা দিয়েছি। এই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নাছিমা আক্তার নির্ধারিত সময়ের পরে জরিমানা সহ ফরম পূরণ করেছে। সেই টাকাও সুপারের কাছে দেই। আমার পক্ষ থেকে কোন গাফিলতি ছিলনা।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, এই বিষয়ে অবগত হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়িত্বে কার অবহেলা ছিল তা প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।