বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ভেদরগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলনেও কৃষকের অস্বস্তি

ভেদরগঞ্জে বোরো ধান কর্তন করছেন কৃষাণী। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর জেলার সর্বোচ্চ বোরো ধান আবাদের উপজেলা ভেদরগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলন হলেও সস্তিতে নেই এ উপজেলার চাষীরা। বোরো ধানের বাম্পার ফলনে অধিকাংশ কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও, পুরানো জাত বপন করে বেশ কিছু চাষী সর্বশান্ত হয়েছে বলে দাবী করেছে।
এ বছর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও মাঠ কর্মকর্তাদের তৎপরতায় ইতিমধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলার বেশীর ভাগ জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হলেও শ্রমিক সংকট ও মজুরী বৃদ্ধির কারণে এখনো ১০ থেকে ১৫ ভাগ ধান মাঠে রয়ে গেছে।
ছয়গাঁও ইউনিয়নের বোরো চাষী লিটন মৃধা বলেন, আমি প্রায় ৫ হেক্টর জমি আবাদ করেছি। আমার ২৯ জাত এর ফলন কম হলেও নতুন জাতের ধান ভালো হয়েছে।
মহিষার ইউনিয়নের চাষী মোঃ নজরুল ইসলাম বেপারী জানান, ব্লাস্ট রোগে আমাদের ধানের ভালোই ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মতে চাষ করলে আমাদের এ সমস্যায় পরতে হতোনা।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার আল আমিন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর। সরকারের প্রণোদনা ও কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে হাইব্রিড ৮২৫ হেক্টর, উপশী ৩ হাজার ৬০২ হেক্টর, দেশী ৫৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
উপসহকারি কৃষি অফিসার মামুনুর রশীদ হাসিব বলেন, আমাদের উপজেলার অধিকাংশ চাষীই পুরাতন জাত ব্রি-ধান ২৯ জাতের আবাদে অভ্যস্ত। এ ধানের আয়ুস কাল নতুন উদ্ভাবিত জাতের চেয়ে বেশী। এ বছর ধানের ফুল ছাড়ার সময় আমাদের উপজেলার আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল। সকালে ঠান্ডা, দুপুরে প্রচন্ড তাপদাহ এতে ২৯ জাতের ধানে ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়ে আবাদ কিছু ব্যহত হয়েছে। তবে আমাদের পরামর্শে যারা ব্রি-ধান ১০০ বা (বঙ্গবন্ধু ধান), ব্রি-ধান ৯৬, ৯২, ৮৯ ও ৭৪ জাত আবাদ করেছে তার বাম্পার ফলন পেয়েছে। এর কারণ এসকল জাত আমাদের ব্রি-ধান ২৯ জাতের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ দিন আগে ফলন পাওয়া যায়।
ইপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমাদের উপজেলায় বোরো আবাদে ব্লাস্টের কারণে সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকারের প্রণোদনা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে যারা বোরো আবাদ করেছে তারা সবাই ভালো ফলন পেয়েছে। তারা অতিতে ব্রি ধান-২৯ জাতের আবাদ করে অভ্যস্ত। আমরা চাষীদের পুরান জাত পরিহার করে নতুন জাতের ধান আবাদের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।