শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৮ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রেমিক আনোয়ার ও প্রেমিকা মালতি আক্তার। ছবি-সংগৃহীত।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে মালতি আক্তার (২২) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিযে আত্মহত্যার চেষ্টার চালিয়েছে। এ ঘটনায় সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাচিকাটা কান্দি (পতনা) গ্রামে আনোয়ার লষ্করের বাড়িতে মালতি আক্তার (২২) নামে ঐ যুবতীর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত মালতি তার প্রেমিক আনোয়ারের বাড়িতে অবস্থান করবেন বলে জানান। মালতি আক্তার ঐ এলাকার বাসিন্দা মৃত জান শরীফ বেপারীর কন্যা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ আট বছর ধরে আনোয়ার লষ্করের সাথে মালতি আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। তবে মালতির বাবা-মা অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দে। কিছুদিন পরেই মালতিকে নিয়ে পালিয়ে যান আনোয়ার। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালতির আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন আনোয়ার। এরপর দীর্ঘদিন এক সাথে ঢাকার মিরপুরের টেকের বাড়িতে সংসার করেন। রোববার সন্ধ্যা ৭টার সময় কাচিকাটা মালদ কান্দি পাতনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মরনআলী লষ্করের বাড়িতে মালতি আক্তার এসে ঘরের আড়ের সাথে ওরনা দিয়ে ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দরজা ভেঙ্গে তাকে রুম থেকে বের করা হয়।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন বেপারী বলেন, আজকে ঘটনাটি শুনে সাথে সাথে আনোয়ার লষ্করের বাসায় এসে তার মায়ের সাথে কথা বলেছি যে মালতি থানায় অভিযোগ করেছে তোমরা অন্য কোথায়ও তোমার ছেলেকে বিয়ে দিও না। তবে তারা আমার কথা রাখে নাই। গোপনে তারা আজকে সন্ধ্যায় আনোয়ারকে বিবাহ করিয়েছে বলে শুনলাম। আর আজকে সন্ধ্যায়ই আনোয়ারদের ঘরে এসে মালতি ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলো। এলাকার লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে থেকে তাকে উদ্ধার করে। তার একটাই দাবি সে আনোয়ারকে চায়।
মেয়ের মা মোকসেদা বেগম বলেন, আমার মেয়েটারে ৮ বছর যাবত শান্তিতে থাকতে দেয়নি আনোয়ার। আমার মেয়েকে ভাগাইয়া নিয়া আসে। পরে সেই দুঃখে আমার স্বামী টা স্টোক করে মারা গেছে। এখন আমার মেয়ে মালতিকে প্রতারণা করে বিয়ে করে একসাথে থেকেও এখন অন্য মেয়েকে আবার বিয়া করতাছে। আমি সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এবং ফাঁসি দেওয়ার সময়ও ৯৯৯ এ কল দিয়েছি। আমি আনোয়ারের বিচার চাই।
প্রেমিকের মা সহুরা (বুয়া) বলেন, মালতি বিয়ে না করে আমার ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করলো কেন। আমার ছেলেকে বিয়ে দেয়ার আগে বললো না কেন। আমি আমার ঘরে মালতিকে বউ হিসাবে তুলব না।
প্রেমিকার দাবিদার মালতি আক্তার বলেন, আমাকে দীর্ঘদিন বিয়ের আশা দিয়ে আমার সাথে একসাথে সংসার করে আনোয়ার। বিবাহ করে হুজুর দিয়ে। পরে ঢাকায় মিরপুরে গিয়ে আমরা দীর্ঘ ৫ বছর থাকি। আজকে আনোয়ার অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নিচ্ছে। আমি এখন আনোয়ারের বাসায় আছি। আর আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে আমি এখানেই গলায় দরি দিব।
এ বিষয়ে প্রেমিক আনোয়ার লষ্করকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
সখিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ঐ মেয়ে ডিবোর্সি নারী। ও ঢাকায় থাকতেই আনোয়ারের সাথে সম্পর্ক করতো। তাই আমি বলেছি লিখিত অভিযোগ ঢাকায় দাও। ফাঁসির ঘটনা আমি শুনি নাই। ফাঁসি যে ব্যক্তি দেয়ার চেষ্টা করবে তারও জেল হতে পারে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।