
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, করোনা মাহামারি আকার ধারণ করার আশঙ্কায় খুবই স্পর্শকাতর। বিষয়টি আমরা আগে থেকেই বুঝতে পেরে সাতকানিয়ার ব্যবসায়ী ভাইদের সাথে বৈঠক করেছিলাম। করোনা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে অবনতি হচ্ছে এটা ব্যবসায়ীদের জানিয়ে আমি অনুরোধ করেছিলাম যাতে তারা দোকান বন্ধ রাখেন। কিন্তু তারা আমার সাথে একমত হয়ে বলেছিলেন দোকান খুলবেন না। আমরা ভোগ্যপণ্য ও ঔষধের দোকানের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। যারা সেদিন বৈঠকে আসতে পারেননি তাদেরকে এই সিদ্ধান্তের কথা ফোনে জানিয়েছি। জুয়েলারী সমিতির নেতৃবৃন্দও আমার সাথে একমত পোষন করেন। ৯ মে উপজেলা করোনা বিষয়ক কমিটির সভায় আমি বিষয়টি অবহিত করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১০ মে হতে ব্যবসায়ীবৃন্দ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলেন। কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। জনসাধারণকে এতো সতর্ক করার পরও কেউ পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করছে না। এখন আমরা আশঙ্কা করছি সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। এর দায়দায়িত্ব অবহেলার দায় হয়তো এই মানুষরা নেবেন না। খারাপ কিছু হয়ে গেলে সব দোষ জনপ্রতিনিধি আর প্রশাসনেরই হবে। জনগণ সচেতন না হলে আমাদের করার খুব বেশি কিছু থাকে না। তারপরও আমরা বলবো ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে এই সব বর্বর মানুষ কতোজনের অশ্রু ঝরাবে আল্লাহ জানেন।
আমি সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনারা ঘরে থাকুন। অযথা বের হবেন না। ভোগ্য পণ্য ব্যতীত অন্য দোকান বন্ধ রাখুন। পরবর্তী করণীয় আমরা উপজেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভা থেকেই ঠিক করবো। কেরানীহাটের ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়ে মার্কেট বন্ধ রাখতে পারলে সাতকানিয়ার ব্যবসায়ীরা কেন করতে পারবেন না? আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।