
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ব্যক্তি জীবনে কতটা নির্লোভ ও নিরহংকারী ছিলেন তা নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও তিনি ছিলেন সাদামাটা এক মানুষ। তার জীবন ও কর্মকে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জামাতা হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনোই ক্ষমতার ব্যবহার করেননি। ড. ওয়াজেদ মিয়া সারাজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং ড. ওয়াজেদ মিয়া-শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের অহংকার। তিনি সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা সবাই স্ব স্ব স্থানে প্রতিষ্ঠিত। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (৮ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৪ত মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া রংপুরের পীরগঞ্জের একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার কাজ দিয়ে পীরগঞ্জের মানুষকে গর্বিত করেছেন। এমনকি বহির্বিশ্বের কাছেও তিনি বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন তার বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে। তিনি নিভৃত এক পল্লী থেকে উঠে এসেছেন নিজের যোগ্যতায়। সব চড়াই-উতরায় পেরিয়ে তিনি নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। পরবর্তী জীবনেও তিনি তার সেই অবস্থান ধরে রেখেছেন।
বিজ্ঞানের প্রতি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ঝোঁক ছিল উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের মতো একটি কঠিন বিষয় বেছে নিয়েছেন। তিনি সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে দেশ ও দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন খ্যাতিনামা পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বিষয় ভিত্তিক অনেক গ্রন্থ লিখে গেছেন। যা এখন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো হয়।
তিনি বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একদিকে যেমন নিজের মেধার চর্চা করে নিজেকে পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তেমনি রাজনীতির প্রতিও তার একটি সুগভীর আগ্রহ ছিল। ১৯৬১ সালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্নেহে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ট ও নীবিড় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যে কারণে জাতির পিতার সব ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তাকেও যেতে হয়েছে। তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি মাহবুব হোসেন ও সঞ্চালনা করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।