বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পরিবর্তনে কাজ করছে সরকার: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

বিশ^ পানি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। ছবি-দৈনিক হুংকার।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা সুদূরপ্রসারী। তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রণয়ন করেছেন “শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান” যার অধিকাংশ কাজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে মুক্ত রাখা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দেশের নদ-নদীসমূহ ড্রেজিং, নদী তীর ভাঙন রোধ, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় যুগোপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়িত হলে পানির সঠিক উন্নয়ন ও ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে বুধবার (২২ মার্চ) বেলা১২ টায় ঢাকায় পানি ভবন থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘Accelerating change to solve the water and sanitation crisis” প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২২ মার্চ উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস- ২০২৩। পানি সম্পদ, পানি সম্পদের ব্যবহার এবং এর সুরক্ষার উপর সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এটি একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। পানি সম্পদ আমাদের সকলের জীবনকে প্রভাবিত করে। এবারের বিশ্ব পানি দিবসে পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মতে প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি এবং ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই সংকট জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংকট সমাধানে এবারের প্রতিপানা খুবই সময়োপযোগী। পানি সম্পদ ও স্যানিটেশনের সংকট ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, জনসমর্থন, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয় প্রয়োজন।
এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা রূপায়নে নদী মাতৃক আবহমান বাংলায় পানি সম্পদ উন্নয়ন খাতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এতে পানি মন্ত্রনালয়ের সচিব এস.এম নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম সহ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
পরে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরনিকর মোড়ক উন্মোচন করেন উপমন্ত্রী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।